দাঁত ব্যথা কমানোর জাদুকরি উপায়
দাঁত ব্যথা হল এরূপ এক প্রবলেম যা একেবারেই সহ্য করা যায়না। না খাবার আহার করা যায় , না শুয়ে দু’দণ্ড বিশ্রাম নেওয়া যায়। দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে দ্বিধাবোধ করেন অনেকেই। এইজন্য প্রাথমিকভাবে পেইনকিলার খেয়ে ব্যথা সারানোর চেষ্টা করেন। এই যাত্রায় হতে গাদা গাদা ওযুধ না খেয়ে বরং এই পারিবারিক টোটকাগুলো ট্রাই করে দেখুন। মা-দিদিমাদের এই টোটকা, সেই প্রাচীণ ঋতু থেকে চলে আসছে। এবং তা কাজ করে নির্ভুল ম্যাজিকের মতো! তবে, ব্যথা অতিরিক্ত হলে নিশ্চয়ই ডাক্তারের উপদেশ নিন।
- এক গ্লাস উষ্ণ জলে বেশি করে নুন গুলে নিয়ে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। যদি কোনও জীবাণুর কারণে দাঁতে ব্যথা হয়, সে ক্ষেত্রে নুন-জল ব্যথা কমিয়ে দেবে। দাঁতের গোড়ায় আহার আটকে থাকে তাহলে সেটাও বের করে দিতে যোগ্য নুন-জল। এছাড়া মাড়িতে রক্ত চলাচল সুন্দর করে এটি।
- রসুনের পেস্ট সৃষ্টি করে তা দাঁতের গোড়াতে লাগান। একটু ঘেন্না বা গন্ধ লাগলেও এটা প্রচণ্ড কার্যকরী। রসুনের ভিতরে আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মমতা কমাতে কার্যকর। একটি রসুনের কোয়া থেঁতলে নিন। তাতে ঈষৎ নুন মেশান। ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর দাঁত মেজে নিলেই গন্ধ চলে যাবে।
- দাঁতে ব্যথার সাথে মাড়ি ফোলার প্রবলেম নোটিশ গেলে ওই স্থান ঠান্ডা সেঁক বা কোল্ড কমপ্রেস দিন। একটি তোয়ালে রুমালে নিয়ে তা সন্তপর্ণে আস্তে মাড়িতে লাগান। পাতলা হাতে সামান্য চেপে রাখবেন। এতে বেদনা কমে যায় যাবে অনেকটাই।
- পেয়ারা পল্লবের রস দাঁতের জন্য উপকারী। পেঁয়ারা পত্র সুন্দর করে ধুয়ে চিবোতে পারেন। কিংবা পেয়ারা পল্লব জলে ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপকরণ আঘাত সারিয়ে তোলে ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপকরণ মুখের ভিতরে থাকা রোগ জীবাণু নাশ করে।
- লবঙ্গের তেল দু’ ফোঁটা ব্যথা দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। অথবা, তুলোয় ভিজিয়ে তা দাঁতের ওপর দিয়ে রাখুন। এতেও কম্ফোর্টেবল পাবেন।